হাওজা নিউজ এজেন্সি: শনিবার ইউরোপে ইসলামী ছাত্রসংঘগুলোর ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইসরায়েলের গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে চালানো আগ্রাসনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এই হামলা “ইসলামী ইরানের যুবসমাজের উদ্যোগ, সাহস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে পরাজিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, ১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে ইরানি জাতির বিজয় প্রমাণ করেছে যে, নিজেদের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এবং ঈমান ও সৎকর্মের ওপর নির্ভর করে ইরানি জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত, নিপীড়নমূলক ও অহংকারী শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে সক্ষম।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, একদল বিজ্ঞানী, সামরিক কমান্ডার ও বেসামরিক নাগরিকের শাহাদাত সাহসী ইরানি যুবসমাজের অগ্রযাত্রা থামাতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।
তিনি আরও বলেন, “এই শহীদদের পরিবারগুলো নিজেরাই এই আন্দোলনের অগ্রপথিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “এ সংগ্রাম মূলত বর্তমান বিশ্বের অন্যায় ব্যবস্থা ও আধিপত্যকামী শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার এবং একটি ন্যায্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান। ইসলামী ইরান এই মহান দাবির পতাকা উড্ডীন করেছে, যা দুর্নীতিগ্রস্ত ও জুলুমকারী শক্তিগুলোকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।”
বার্তার শেষাংশে তিনি বলেন, “তোমরা ছাত্ররা—বিশেষ করে যারা বিদেশে অবস্থান করছ— এই মহান দায়িত্বের অংশীদার। তোমাদের হৃদয় আল্লাহর কাছে সমর্পণ করো, নিজেদের সক্ষমতা চিহ্নিত করো এবং তোমাদের সংগঠনগুলোকে এই লক্ষ্যপথে পরিচালিত করো।”
আপনার কমেন্ট